ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫ , ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে ভারতের একটি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে ঐতিহাসিক বিলাল মসজিদ; দুই দেশের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির শঙ্কা।

মুজাফফরাবাদে ভারতের বিমান হামলা: ধ্বংস হয়েছে বিলাল মসজিদ

স্টাফ রিপোর্টার | উম্মাহ২৪.নিউজ
আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ১২:৪৭:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ১২:৫১:৫৪ অপরাহ্ন
মুজাফফরাবাদে ভারতের বিমান হামলা: ধ্বংস হয়েছে বিলাল মসজিদ বিলাল মসজিদের ধ্বংসাবশেষ

ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে যখন ভারতীয় বিমানবাহিনী একটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ শহরে। এই হামলায় শহরের এক ঐতিহাসিক স্থাপনা, বিলাল মসজিদ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছে।
 

বিলাল মসজিদ, যা শতাব্দীপ্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে পরিচিত, কেবল ধর্মীয় কারণে নয়—স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসেও এর গুরুত্ব ছিল ব্যাপক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে ফজরের নামাজ চলাকালীন মসজিদটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা হয়, যার ফলে তা মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

 

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল একটি “সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি” যা মসজিদের পাশেই অবস্থান করছিল এবং সেখানে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতীয় সেনাবাহিনী সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে, বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।”
 

তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের এই দাবিকে “বানোয়াট” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এটিকে একটি “সাংঘাতিক যুদ্ধাপরাধ” বলে আখ্যায়িত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “ভারত এই হামলার মাধ্যমে ইসলামিক স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হেনেছে, যা মুসলিম বিশ্বের আবেগে আঘাত।” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

 

দুই দেশের মধ্যে পূর্বে থেকেই উত্তপ্ত থাকা সম্পর্ক এই ঘটনার পর আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লিতে যুদ্ধকালীন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে এবং উভয় পক্ষ থেকেই উচ্চপর্যায়ের সামরিক প্রস্তুতি চলছে।
 

ভারতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক রাঘব শর্মা NDTV-তে বলেন, “এই হামলা প্রতিক্রিয়াশীল নয়, বরং পরিকল্পিত কৌশলের অংশ। এটি পাকিস্তানকে বার্তা দেওয়ার একটি উপায়।” অপরদিকে পাকিস্তানি রাজনৈতিক বিশ্লেষক হুসেইন কায়সার আল জাজিরাকে বলেন, “এই হামলা শুধু সীমান্ত নয়, ধর্মীয় অনুভূতিকেও অগ্রাহ্য করেছে।”

 

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ওআইসি (Islamic Cooperation) ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস এক টুইটে লেখেন, “ধর্মীয় স্থান লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে পারে, বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”


নিউজটি আপডেট করেছেন : NewsUPload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ