ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“প্রযুক্তি ব্যবহারে জালিয়াতি ধরা পড়লেও লিখিত অভিযোগ না থাকায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ; মূল চক্র শনাক্তের তাগিদ”

সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বিশেষ ডিভাইস’-এ উত্তরপত্র: ১২০ জন বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার | উম্মাহ২৪.নিউজ
আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৫ ০৩:২৫:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-০৫-২০২৫ ০৩:২৫:২৬ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বিশেষ ডিভাইস’-এ উত্তরপত্র: ১২০ জন বহিষ্কার

সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার-কাম মেসেঞ্জার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অভিনব পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। শুক্রবার বিকেলে শহরের পাঁচটি কেন্দ্রে ১২০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা একটি ‘বিশেষ ডিভাইস’ ব্যবহার করে বাইরে থেকে উত্তর শুনে উত্তরপত্র পূরণ করছিলেন।
 

বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম।
 

পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ১,৩০০ জন অংশ নেন। বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশের শরীরে পাওয়া গেছে ইয়ারফোন এবং ব্যাংক কার্ডের মতো দেখতে একটি ডিভাইস, যা ব্লুটুথের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ইয়ারফোনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সিমকার্ড চালিত এই ডিভাইসের মাধ্যমে অপর প্রান্ত থেকে পরীক্ষার উত্তর পাঠানো হচ্ছিল বলে জানান কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
 

এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষারত ২৬৯ জনের মধ্যে ৫৬ জনকেই বহিষ্কার করা হয়। কেন্দ্রটির সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ বিশ্বাস বলেন, “এ ধরনের ঘটনা সুনামগঞ্জে এই প্রথম। অংশগ্রহণকারীরা কেউ স্থানীয় নয়— একাধিক সংঘবদ্ধ চক্রের সহায়তায় তারা এসেছে।” পরীক্ষার সময় অসঙ্গত আচরণ দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় শিক্ষকদের। তারা কয়েকজন পরীক্ষার্থীর কান থেকে ইয়ারফোন খুলে ফেলে এবং শরীরে লুকানো ডিভাইস উদ্ধার করে। এরপর একে একে আরও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে একই ধরনের ডিভাইস পাওয়া যায়।
 

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুণ্ডু জানান, “এটি একটি সুসংগঠিত চক্র। তারা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা নিয়ে পরীক্ষায় বসিয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি মূল চক্রকে খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।”
 

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগ না থাকায় তাদের আটক রাখা সম্ভব হয়নি।
 

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় নিয়োগ পরীক্ষায় নিরাপত্তা ও নৈতিকতার সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : NewsUPload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ