তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশে উন্নীতকরণসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ ১২ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছে সরকারকে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ২৫ মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে পেট্রল পাম্প বন্ধ ও ট্যাংকলরি চলাচল স্থগিত রেখে প্রতীকী কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল।
তিনি জানান, "জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে বৈঠক করা হলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। ব্যবসায়ীরা এখন আর্থিক ক্ষতির মুখে।"
তিনি বলেন, "গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিপিসি চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে। আমরা সেই আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বাস্তব অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা হতাশ।"
তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশে উন্নীত করা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ইজারাভূমির মাসুল পুরনো হারে বহাল রাখা।
ইজারা নবায়নের সময় আবেদন ও পে-অর্ডার দাখিল করলেই তা নবায়ন হিসেবে গণ্য করা।
বিএসটিআইয়ের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী ডিসপেন্সিং ইউনিট স্ট্যাম্পিং ও পরিমাপ যাচাই কার্যক্রম চালু রাখা।
আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি ও নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা।
ঘর বা খোলা জায়গায় অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ করা।
বিপণন কোম্পানিগুলোর ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করা।
ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু প্রক্রিয়া সহজ করা।
রাস্তায় ট্যাংকলরি আটকিয়ে কাগজপত্র যাচাই বন্ধ করে ডিপো গেটে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চেকিং কার্যকর করা।
সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম জানান, ২৪ মে পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হলো সরকারের জন্য। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৫ মে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে সব পেট্রল পাম্প বন্ধ ও ট্যাংকলরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, জুবায়ের আহাম্মেদ চৌধুরীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগের তেল ব্যবসায়ী নেতারা।