
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাম্প্রতিক বিদেশ যাত্রা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, সরকারি পর্যায়ে গাফিলতি বা মদদ ছাড়া একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির এভাবে দেশ ত্যাগ সম্ভব নয়।
রবিবার সকালে রাজধানীতে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী বক্তব্যে রিজভী বলেন, "একজন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে পারেন, তবে তা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা অথবা সরকারের ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তারই প্রমাণ।"
তিনি বলেন, “আমরা জানতে চাই, তাঁর লাল পাসপোর্ট এখনো কেন বৈধ? কার অনুমতিতে তিনি দেশ ছাড়লেন? এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।”
আবদুল হামিদকে একহাত নিয়ে রিজভী আরও বলেন, “উনি ছিলেন ক্ষমতাসীন দলেরই ভাবাদর্শের ধারক। তাঁর কর্মকাণ্ডেও ছিল একই রাজনৈতিক মানসিকতার প্রতিফলন। হাওরের ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে তিনি পরিবেশকে যেমন ক্ষতি করেছেন, তেমনি গণতান্ত্রিক কাঠামোকেও আঘাত করেছেন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে রিজভী বলেন, “একদিকে ধর্মীয় অনুশীলনের কথা বললেও, অন্যদিকে রাজনীতিতে সহিংসতা ও দমননীতির আশ্রয় নেওয়া তাঁর দ্বিচারিতার পরিচয়।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্তসহ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের নেতারা।