
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক ঘুরল ২০২৫ সালের ১০ মে। দীর্ঘ আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকার জনমতের ভিত্তিতে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এটি ছিল দলটিকে নিষিদ্ধ করার ইতিহাসে তৃতীয় ঘটনা। সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাশাসক আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। দ্বিতীয়বার ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সেদিন তিনি শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর অনুসারীদের 'পাকিস্তানের ঐক্যবিরোধী' বলে অভিহিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
বর্তমান নিষেধাজ্ঞাটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নেয়া হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। সরকার জানিয়েছে, চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, দেশের আইনি কাঠামো ও বিচারিক ব্যবস্থার ওপরও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।