
ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে চিহ্নিত করার রাজনৈতিক প্রবণতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তার ভাষায়, এটি শুধুমাত্র একটি নেতিবাচক প্রচারণা নয়—বরং বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় আধিপত্যবাদী বয়ানের অনুপ্রবেশ ঘটানোর কৌশল।
গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষকে ‘পাকিস্তানপন্থী’ ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে, যা একধরনের ‘ইন্ডিয়ান রেটোরিক’ (ভারতীয় কৌশলগত রাজনৈতিক ভাষ্য)। তিনি বলেন, এটি অতীতে যেমন বিরোধীদের দমন ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল, তেমনি আবারো সেই ‘আত্মঘাতী সংস্কৃতি’ ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা রয়েছে।
আজিজুল হক মনে করেন, বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনীতির বাস্তবতা নেই যেটিকে ‘পাকিস্তানপন্থা’ বলে বর্ণনা করা যায়। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং বর্তমান ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় গঠিত। এসব পর্ব আমাদের জাতীয় চেতনার ভিত্তি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব ঐতিহাসিক বাস্তবতা ভারতের ‘মুসলিমবিদ্বেষী বয়ান’-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক, তাই ঐতিহাসিক ভুল ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে হেফাজতের এই নেতা রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “ভিন্নমতের প্রতি বিদ্বেষমূলক তকমা ব্যবহার না করে ইতিহাসের সঠিক বয়ান ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি।”