
কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চরম সংকটে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNHCR। সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের জন্য রোহিঙ্গা সহায়তায় প্রয়োজনীয় ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাত্র ৩৫ শতাংশ অর্থ এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংকট তীব্র হওয়ার শঙ্কা
UNHCR বলছে, এ অর্থঘাটতি দ্রুত পূরণ না হলে চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেই খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা সেবা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পানীয় জলের মতো মৌলিক সেবা ব্যাহত হতে পারে। ইতোমধ্যে কিছু সহায়তা কর্মসূচি সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে।
সংকটের গভীরে এক মিলিয়ন মানুষ
বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার ও ভাসানচরের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করছে। তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে এসেছে। এই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তা নির্ভরশীল বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন এনজিও এখন বাজেট ঘাটতির কারণে গভীর চাপে রয়েছে।
বৈশ্বিক সহায়তা হ্রাস পাচ্ছে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে উন্নত দেশগুলো মানবিক সহায়তার বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গাদের মতো দীর্ঘমেয়াদি শরণার্থী সংকটগুলো ক্রমেই উপেক্ষিত হচ্ছে। এ বিষয়ে UNHCR পুনরায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শরণার্থী গোষ্ঠী। বাংলাদেশ সরকারের সীমিত সক্ষমতায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ছাড়া এ সংকট মোকাবেলা প্রায় অসম্ভব। UNHCR’র এই হুঁশিয়ারি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।