
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড সীমান্ত এবং বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে এ পুশইনের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবি ৬ জনকে পঞ্চগড় সদর থানা ও ১৭ জনকে বোদা থানায় হস্তান্তর করে। বর্তমানে তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, “বিজিবি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) মূলে ৬ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
বোর্ডা থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, “১৭ জনকে বোদা থানায় নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “বিএসএফ দুই সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ২৪ জনকে পুশইন করেছে। আমাদের টহল দল তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক ডাকা হবে।”
বর্ডার পুশইনকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। বিষয়টি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।