
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নির্ধারণ ও অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার সকালে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, “তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরুর আগে জনবল নিরূপণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত ঝামেলা, বিদেশগামীদের ভোগান্তি ও অন্যান্য সমস্যা সরেজমিনে জানতেই আজকের এই সফর।”
উপদেষ্টা জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ও সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ ৯৯.১৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কবে নাগাদ এটি উদ্বোধন করা হবে, সে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মহল নেবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “টার্মিনালটি চালু হলে আগের মত বিদেশ যাত্রায় যাত্রীদের যে দুর্ভোগ হতো, তা আর থাকবে না।”
পরিদর্শনকালে গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের সহিংস ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “ঘটনাটির গভীর তদন্তের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দায় নির্ধারণ করবে এবং সব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।”
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি, কারণ স্বজনরা লাশ নিয়ে গেছেন। “যেসব মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি, প্রয়োজনে তা কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হবে,” বলেন উপদেষ্টা।
এদিন উপদেষ্টা কেবল তৃতীয় নয়, বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ ও ২-ও পরিদর্শন করেন। যাত্রীদের সমস্যা শোনেন এবং তা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস. এম. রাগীব সামাদ এবং ইমিগ্রেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।